গাংনীতে চরমপন্থিদের পোস্টারিং আবারও চরমপন্থীরা সংগঠিত হবার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এম.এ.লিংকনঃ-রক্তাক্ত জনপদখ্যাত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আবারও চরমপন্থিদের পোষ্টারিংয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি। আদর্শগত বিরোধ, আধিপত্য বিস...

এম.এ.লিংকনঃ-রক্তাক্ত জনপদখ্যাত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আবারও চরমপন্থিদের পোষ্টারিংয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি। আদর্শগত বিরোধ, আধিপত্য বিসত্মার ও এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ইতোপূর্বে খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে । এমনকি একই রাতে ৭ জনকে গুলি ও জবাই করে হত্যা করার ঘটনাও ঘটেছে। গত বৃহঃপ্রতিবার রাতে বে-আইনি সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পাটি(কংগ্রেস) আড়পাড়া ও আশপাশ এলাকায় পোষ্টারিং করে। কংগ্রেসের আঞ্চলিক নেতা জনৈক দাদা ঠাকুরের লিখিত পোষ্টারে লাল পতাকার আঞ্চলিক নেতা আকছেদ সহ ৫ জনের মত্ব্যদণ্ড ঘোষনা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে লাল পতাকা ও কংগ্রেস বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থানে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন অবগত নয় বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ আলী। যতদুর জানা যায়, গাংনী অঞ্চলে চারটি চরমপন্থি সংগঠন সক্রীয়। এ গুলো হচ্ছে, পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পাটি (এম এল), জনযুদ্ধ, লাল পতাকা ও নতুন সংগঠন কংগ্রেস। এ সকল সংগঠনের সহস্রাধিক ক্যাডারের তৎপরতা রয়েছে। এসব সংগঠনের ক্যাডাররা ধারাবাহিক চাঁদাবাজি, রাহাজানি, বোমা হামলা করে সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, ব্যাবসায়ী ও ঠিকাদারদের হত্যা করে অশানত্ম করে তুলেছে গোটা জনপদের মানুষকে। ১৯৯৪ সালের গোড়ার দিকে আড়পাড়া ও জালশুকার ৭ জন নিরীহ গ্রামবাসিকে নির্মম ভাবে গুলি ও জবাই করে হত্যা করে। সে থেকেই এ অঞ্চল চরমপন্থিদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়। এক গ্রুপ প্রতিশোধ নিতে আরেকটি গ্রুপের আশ্রয় নেয়। শুরু হয় রক্তের হোলি খেলা। গত একযুগে গাংনী অঞ্চলে জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। চরপন্থীদের নিমূল করতে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষনায় সাড়া দিয়ে জ্বলনত্ম ইটের ভাটায় মানুষ পুড়িয়ে মারার নায়ক বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চুয়াডাঙ্গার নুরুজ্জামান লাল্টু, কুষ্টিয়ার কসাই সিরাজসহ শতাধিক চরমপন্থি ক্যাডার আত্মসমর্পন করে। আত্মসমর্পন কালে এই সব ক্যাডাররা ভাঙ্গাচুরা কিছু অস্ত্রশস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দিলেও তাদের অস্ত্রের ভান্ডার থাকে সুরক্ষিত। ফলে কিছু দিনের মাথায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে চরমপন্থিরা। প্রায় প্রতিদিনের খুন হতে থাকে সাধারণ নিরীহ মানুষ। গোটা অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ে।পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের আমলে র‌্যাব পুলিশের সড়াশি অভিযানে মারা গেছে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির রাহুলরাজ,তাজবির হাসান লিপু, জনযুদ্ধের কবির, সাদ্দাম, আজিজুল, বাদশা,কমিউনিষ্ট যুদ্ধর প্রধান রনি বিশ্বাস লালপতাকার আকরাম শিকদার ওরফে ভাসান, আনারুলসহ প্রায় শতাধিক ক্যাডার। সর্বশেষ নিহত হলেন পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সুমন, আতিয়ার ও শাবার। বাঘা বাঘা চরমপন্থি নেতা র‌্যাব পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে পতন হলেও এদের যারা গডফাদার তারা রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে। এ সকল গডফাদদের আশির্বাদে নতুন নতুন দলের সৃষ্টি হচ্ছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের ধারনা। এ অঞ্চলের সচেতন মহলের দাবী শুধু চরমপন্থী নেতারা নির্মূল হলেই এ অঞ্চল থেকে চরমপন্থী দুর হবে না। স্থায়ী ভাবে এ অঞ্চল থেকে চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বন্ধ করতে হলে আগে দরকার এদের গডফাদারদের খুজে বের করা। তাদেরকে খুজে নিমূল না করা গেলে এ অঞ্চল থেকে যতই বাঘা বাঘা সন্ত্রাসীর পতন হোক না কেন চরমপন্থি নিমূল কনো ভাবেই সম্ভব হবে না। একই সাথে দরকার তাদের অস্ত্র ভান্ডার খূজে বের করা।এদিকে চরমপন্থিদের পোষ্টারিংয়ের ব্যাপারে গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই গোলাম মোহাম্মদ আলী বিষয়টি জানেন না বলে জানান। তিনি আরো বলেন আতংকিত হবার কিছু নেই। পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার লোকজন সন্ত্রাস প্রতিহত করতে তৎপর রয়েছে
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

Follow Us

গাংনী নিউজের পক্ষ থেকে সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা । প্রিয় পাঠক, অত্যান্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, গাংনী নিউজ এখন থেকে ২৪ ঘন্টাই আপডেট করাহবে। আমাদের ঠিকানা-www.gangninews.com আমাদের সাইটে প্রবেশ করুন- এখানে ক্লিক করে এবং গাংনীর সব খবর সবার আগে জেনে নিন ধন্যবাদ।

Hot in week

Recent

Comments

ডাউনলোড করুন। ছবি দেখে ফন্টটি সেটাপ করুন এবং ফিক্স করুন।
item