ইতিহাসের নির্মম সাক্ষি বামুন্দি কাচারী বাড়ি ধ্বংসের পথে।
তাহেরুল ইসলাম তপনঃ-বিট্রিষ বেনিয়াদের নির্মম অত্যাচার ও নিপিড়ন এবং নির্যাতনের স্মৃতি চিহ্ন বামুন্দি কাচারী বাড়ি ধবংস হতে চলেছে। সংরক্ষণ ও সং...
https://gangninews.blogspot.com/2010/02/blog-post_380.html
তাহেরুল ইসলাম তপনঃ-বিট্রিষ বেনিয়াদের নির্মম অত্যাচার ও নিপিড়ন এবং নির্যাতনের স্মৃতি চিহ্ন বামুন্দি কাচারী বাড়ি ধবংস হতে চলেছে। সংরক্ষণ ও সংস্কার করলে এটিও হতে পারে পর্যটক কেন্দ্র। যতদুর জানা যায়, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের আগে কুখ্যাত নীলকর জেম্সহীলের পতনের পর কলকাতার বিখ্যাত জমিদার বটকৃষ্ণ রায় চৌধুরী অত্র এলাকার ইজারা গ্রহণ করেন। চলতে থাকে তার জমিদারী কার্যক্রম। এসকল কার্যক্রমের জন্য বামন্দী কাচারীবাড়ী নির্ধারন করা হয়। এখানে রয়েছে সুরক্ষিত শয়ন কক্ষ, নাচ ঘর, কয়েদখানা এবং উঠানে রয়েছে মৃত্যুকুপ। প্রচলিত আছে জমিদারের খাজনা বা কর দিতে অপারগতা প্রকাশ কারীদেরকে নির্মম নির্যাতন শেষে মৃত্যুকুপে নিক্ষেপ করা হত। জমিদারের নায়েব গোমসত্মাদের কু-দৃষ্টি থেকে রেহাই পেতনা এলাকার সুন্দরী রমনীরাও। তাদের কে ধরে এনে ভোগ শেষে হত্যা কিংবা পঙ্গু করে দেওয়া হত। আবার অনেক রমনিকে বাইজি হিসেবে রাখা হত। কেউ যদি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো তাহলে তারও হত নিশ্চিত মৃত্যু। বাংলা ১৮ সালের শেষের দিকে জমিদার বটকৃঞ্চ বাবুর কাছ থেকে কুষ্টিয়ার খেমেরদিয়াড়ের বাবুরা ওই জমিদারী ক্রয় সুত্রে মালিক হন। দেশ বিভাগ পর্যনত্ম তারা জমিদারী পরিচালনা করেন। দেশ বিভাগের পরে কাচারী বাড়িটির দু’টি কক্ষে কাচারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সে ধারামতে বর্তমানে বামুন্দি ইউপি ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে ওই কাচারী বাড়ি থেকেই। বামুন্দি ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, কাচারী বাড়ির আওতায় ১৬ একর জমিতে ৩.১৫ একর আমবাগান, ধানী জমি ০.৮৪ একর, পুকুর ২.২১ একর, বাড়ি ০.৫৩ একর ও ০.৩০ একর জমিতে তহশিল অফিস অবস্থিত। আমবাগান ও আমবাগান সংলগ্ন কিছু জমিতে রাজস্ব বিভাগ ইজারা প্রদান করেছে। হাটের পার্শ্বে ১ একর ৩০ শতক জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দবর দখল করে নিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দেশ স্বধীনহওয়ার পর অনেকেই গুপ্তধনের সন্ধানে কাচারি বাড়ির বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করা হয়। সংস্কার আর সংরক্ষণের অভাবে কাচারির বাড়ির স্থাপনাগুলো দিন দিন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। সুযোগ পেলে এখনও অনেকেই ভবনের ইট কাঠ খুলে নিয়ে যায়। ইতিহাস ঐহিত্য সমৃদ্ধ কাচারি বাড়িটি দেখতে দুর দুরানত্ম থেকে এখনও অনেক পর্যটক আসেন। আবার বিশেষ দিনগুলোতে এলাকার অনেকেই এখানে সময় কাটাতে আসেন। এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি ইতিহাসের সাক্ষি কাচারি বাড়িটি সংস্কার আর সংরক্ষণ করে এখানেও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনা করা হোক।