ফলো আপঃগাংনীর হাড়িয়াদহে তৌকিরুল হত্যা মামলা ৭ মাস পর পায়খানার ট্যাংকি থেকে নিহতের শার্ট, গেঞ্জি, স্যান্ডেল উদ্ধার।
এম এ লিংকন - মেহেরপুরের গাংনীর হাড়িয়াদহ গ্রামের নিহত তৌকিরুলের রক্তমাখা শার্ট , গেঞ্জি ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে । দীর্ঘ ...
জানা গেছে,তৌকিরুল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী হাড়িয়াদহ গ্রামের মৃত কাবাতুল্লাহর ছেলে আব্দুর জাব্বারের নিজ বাড়ির পরিত্যাক্ত পায়খানার ভিতর নিহত তৌকিরুলের শার্ট,স্যান্ডেল পাওয়া গেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সগির মিঞা ও সেকেন্ড ইন চার্জ এ এস আই মহাম্মদ আলী সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসব উদ্ধার করেন ।
এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন এ হত্যা বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত তৌকিরুল কে কৌশলে ডেকে এনে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডের সাথে আসামী আব্দুল জাব্বার ও তার সঙ্গীরা জড়িত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের অনেকেই বলেছেন। আব্দুর জাব্বারের স্ত্রী মোছাঃ বেলিয়ারার সাথে গোপন সুসম্পর্ক ছিল নিহত তৌকিরুলের। পরকীয়ার জের ধরে আব্দুর জাব্বার ও তার লোকজন দিয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তৌকিরুলকে হত্যা করে বাড়ির পার্শ্বে ব্যাঁনা গাড়ির মাঠে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় লাশ ফেলে আসে এমন ধারণা গ্রামের লোকজন আগেও করেছে এখন নিশ্চিত হয়ে গেল। এ হত্যা কান্ড তারাই ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে তৌকিরুলে বড় ভাই রমজান আলী সন্দেহ ভাজন আব্দুর জাব্বার তার স্ত্রী বেলিয়ারা একই গ্রামের মৃত মোহন আলীর দুছেলে ইমফারুল ও বজলু, জাব্বারের তিন ভাই মাহাতাব আলী, আহাত্তার আলী ও আব্বাস আলী, আহাত্তারের ছেলে খবির, মাহাতাবের ছেলে মাসুদ রানা, ধানখোলা গ্রামের ইমাজ উদ্দীনের ছেলে আলাউদ্দিনের নামে গত বছরের ১২ জুলাই মেহেরপুর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং ১৭,তাং ১২/০৭/০৯ ইং।ঘটনার দিনই পুলিশ আসামী আব্দুর জাব্বার ও পরের দিন সকালে জাব্বারের স্ত্রী বেলিয়ারা কে আটক করে। বর্তমানে আসামীরা জামিনে রয়েছে।