মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার বৃত্তান্ত।
শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার শেষ সময় পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত- বালাকাল থেকে মেজর (অবঃ) ব...
https://gangninews.blogspot.com/2010/01/blog-post_30.html
শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার শেষ সময় পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত-
বালাকাল থেকে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদা হাটবোয়ালিয়া তার পৈত্রিক নিবাসে বেড়ে ওঠে হুদার বাবা ডাঃ রিয়াজউদ্দিন ছিলেন ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের এম .এল .এ। তার পিতার প্রতিষ্ঠিত হাটবোয়ালিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার স্কুল জীবন অতি বাহিত হয়।
এইচএসসি পাশ করার পর বজলুল হুদা সেনা বাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে ভর্তি হন। দেশে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিসত্মান আর্মি থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তখন তিনি ক্যাপ্টেন ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পরে চাকরিতে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে মেজর হন। অত্যনত্ম কর্মঠ ও বিচক্ষনতার জন্য মেজর পদবী মর্যদায় তিনি প্রতিরক্ষা গোযেন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সময় তিনি ওই পদে আশিন ছিলেন। ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তিনি আত্ম গোপন করেন।
১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের এমপিরা পদত্যাগ করলে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে যায়। সে সময় হুদা এলাকায় ফিরে আসে। শর্তানুযায়ী ১৯৮৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে গাংনী আসনে এমপি নির্বাচিত হয় মেজর (অবঃ) বজলুল হুদা। এরশাদ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত তিনি ফ্রিডর্ম পার্টির একমাত্র এমপি হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও গাংনী এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তিনি ঢাকাতে চলে যান। এবং চাকুরিতে উপবিষ্ট হন। পুনরায় ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আলমডাং্গা এবং গাংনী দুটি আসনে প্রতিদন্দিতা করে হেরে যান।
১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিজিত হলে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদা ভারত হয়ে পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। সেখানে চুরির দায়ে আটক হয়। ১৯৯৮ সালে ৮ b‡f¤^i ঢাকা দায়রা জজ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের দিনে বজলুল হুদাকে দেশে আনা হয়। এগার বছর পর ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ বৃহস্পতিবার রাত ১২ঃ৩৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
হাটবোয়ালিয়ার তার পৈত্রিক নিবাসে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন ঘরের সামনে তার পিতার নামে গড়ে তোলা রিয়াজ ডাক্তার ফাইন্ডেশনের একটি সাইন বোর্ড টাঙ্গানো আছে। জরাজীর্ণ ভবনে একটি পরিবার ভাড়ায় থাকেন। ফাইন্ডেশনের উদ্যোগে এলাকার গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি দেওয়ার সময় পরিবারে অনেকেই বাড়িতে আসেন। বাকি সময়ে পরিবারের কেউই বাড়িতে থাকেন না। পাশেই রিয়াজ ডাক্তার প্রতিষ্ঠিত হাটবোয়ালিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় যেখানে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার স্কুল জীবন অতি বাহিত হয়েছিল।
মেজর হুদার ফাঁসির রায়ের ব্যপারে প্রতিকৃয়া জানতে চাইলে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে রফিকুল হুদা ওরফে মঙ্গল জানান, রায় কার্যকর হয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি কোন কিছু মনত্মব্য করতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন মেনে নিতে হবে বেং এটাই স্বাভাবিক যা হবার তাই হবে বলে লাভ কি?
বালাকাল থেকে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদা হাটবোয়ালিয়া তার পৈত্রিক নিবাসে বেড়ে ওঠে হুদার বাবা ডাঃ রিয়াজউদ্দিন ছিলেন ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের এম .এল .এ। তার পিতার প্রতিষ্ঠিত হাটবোয়ালিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার স্কুল জীবন অতি বাহিত হয়।
এইচএসসি পাশ করার পর বজলুল হুদা সেনা বাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে ভর্তি হন। দেশে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিসত্মান আর্মি থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তখন তিনি ক্যাপ্টেন ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পরে চাকরিতে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে মেজর হন। অত্যনত্ম কর্মঠ ও বিচক্ষনতার জন্য মেজর পদবী মর্যদায় তিনি প্রতিরক্ষা গোযেন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সময় তিনি ওই পদে আশিন ছিলেন। ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তিনি আত্ম গোপন করেন।
১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের এমপিরা পদত্যাগ করলে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে যায়। সে সময় হুদা এলাকায় ফিরে আসে। শর্তানুযায়ী ১৯৮৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে গাংনী আসনে এমপি নির্বাচিত হয় মেজর (অবঃ) বজলুল হুদা। এরশাদ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত তিনি ফ্রিডর্ম পার্টির একমাত্র এমপি হিসেবে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও গাংনী এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তিনি ঢাকাতে চলে যান। এবং চাকুরিতে উপবিষ্ট হন। পুনরায় ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আলমডাং্গা এবং গাংনী দুটি আসনে প্রতিদন্দিতা করে হেরে যান।
১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিজিত হলে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদা ভারত হয়ে পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। সেখানে চুরির দায়ে আটক হয়। ১৯৯৮ সালে ৮ b‡f¤^i ঢাকা দায়রা জজ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের দিনে বজলুল হুদাকে দেশে আনা হয়। এগার বছর পর ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ বৃহস্পতিবার রাত ১২ঃ৩৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
হাটবোয়ালিয়ার তার পৈত্রিক নিবাসে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন ঘরের সামনে তার পিতার নামে গড়ে তোলা রিয়াজ ডাক্তার ফাইন্ডেশনের একটি সাইন বোর্ড টাঙ্গানো আছে। জরাজীর্ণ ভবনে একটি পরিবার ভাড়ায় থাকেন। ফাইন্ডেশনের উদ্যোগে এলাকার গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি দেওয়ার সময় পরিবারে অনেকেই বাড়িতে আসেন। বাকি সময়ে পরিবারের কেউই বাড়িতে থাকেন না। পাশেই রিয়াজ ডাক্তার প্রতিষ্ঠিত হাটবোয়ালিয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় যেখানে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার স্কুল জীবন অতি বাহিত হয়েছিল।
মেজর হুদার ফাঁসির রায়ের ব্যপারে প্রতিকৃয়া জানতে চাইলে মেজর (অবঃ) বজলুল হুদার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে রফিকুল হুদা ওরফে মঙ্গল জানান, রায় কার্যকর হয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি কোন কিছু মনত্মব্য করতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন মেনে নিতে হবে বেং এটাই স্বাভাবিক যা হবার তাই হবে বলে লাভ কি?