প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ। মেহেরপুরের গাংনীতে রাজনৈতিক প্রভাবিত শিক্ষকদের নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ার অভিযোগ।
আমিরুল ইসলাম অল্ডামঃ- মেহেরপুরের গাংনীতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন হুমকির মুখে পড়েছে । রাজনৈতিক প্রভাবিত শিক্ষকগন বিদ্যালয়ে ন...
আমিরুল ইসলাম অল্ডামঃ- মেহেরপুরের গাংনীতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন হুমকির মুখে পড়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবিত শিক্ষকগন বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে নিয়মিত পাঠদান হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন বাঁধাগ্রসত্ম হচ্ছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারী বে-সরকারী এবং কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে দেড় শতাধিক, অন্যদিকে নিম্ন মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ রয়েছে ৭৫টি। এসব বিদ্যালয় গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোন বিদ্যালয়েই নিয়মিত এবং সময় মতো শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত থাকেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে এক গ্রুপ শিক্ষক রয়েছে যারা দলীয় প্রভাব দেখিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকে না বা পাঠদান করান না। কর্ম দিবসে অনেক শিক্ষককেই বিদ্যালয়ে না দেখা গেলেও পিআইও অফিস এবং এলজিইডি অফিসে ঠিকাদারী করতে দেখা যায়। এ ছাড়াও দলীয় শীর্ষ নেতাদের তুষ্ট করতে প্রতিনিয়ত তাদের বারান্দায় ঘুরতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানায়, বর্তমান সরকারের সমর্থিত কতিপয় শিক্ষক ঠিকমতো বিদ্যালয়ে হাজিরা দেয় না এমনকি অনেকে মাসের পর মাস স্কুল না করেও বেতন উত্তোলন করছেন। হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর দেখাচ্ছে। অনেক শিক্ষক তাদের দায়িত্ব পালন করেন না এমন প্রমান পেয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল আলম । শিক্ষকদের এ অনিহা ও রাজনৈতেক প্রভারের বিষয়ে তিনি বলেছেন, কোন এক সময়ে তিনি যান বাদিয়া পাড়া মহব্বতপুর স্কুলে বিল্ডিং এর ছাদ ঢালাই দেখতে। এতে সময় বেশি থাকায় পরিদর্শনে যান কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখতে পান এমন চিত্র। শিক্ষকদের বিবেক না দংশালেও বন্ধ করেন এ পরিদর্শন।উপজেলা চেয়ারম্যান নিজের দায়িত্ব বোধ থেকে প্রায়ই পরিদর্শনে যান উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখতে পান গ্রহণ যোগ্য নয় এমন নানা চিত্র।তিনি বলেন, শাসিত্ম নয় জাতির বিবেক শিক্ষদের ঈঙ্গিত মূলক সমালোচনা করে সচেতন করতে হবে।এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খান এ প্রতিনিধিকে জানান, এ রকম অভিযোগ আমি পাইনি। তবে কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পেলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। অন্যদিকে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশিষ্ট শিক্ষকদের অভিমত, সরকার শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান বাড়াতে শতভাগ বেতন ভাতা প্রদান করছে। শিক্ষকদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং সামাজিক প্রভাব মুক্ত করতে উপজেলার মধ্যে বদলীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বদলী এবং শাসিত্মর ব্যবস্থা চালু করলে শিক্ষকদের মধ্যে দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা আসতে পারে । এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রনালয় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে চিনত্মা-ভাবনা করলে শিক্ষা ক্ষেত্রে কাংখিত ফলাফল আশা করা যেতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।