আপন মনে এগিয়ে চলছে গাংনীর বিজ্ঞানী নুরূল ইসলাম।
আবু হোসেন- মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দুরে এক নিভৃত পল¬ীর নাম শাহারবাটি। এ গ্রামের এক আত্ম প্রত্যয়ী যুবকের নাম ন...
https://gangninews.blogspot.com/2010/02/blog-post_20.html
আবু হোসেন- মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দুরে এক নিভৃত পল¬ীর নাম শাহারবাটি। এ গ্রামের এক আত্ম প্রত্যয়ী যুবকের নাম নূরুল ইসলাম পবন। পিতার নাম মুনসুর আলী, মা জাহানারা খাতুন। যিনি ইতোমধ্যে ক্ষুদে বিজ্ঞানী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে এ ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সফল হলেও মুলকাজে হাত দিতে পারেননি। তার নুতন প্রযুক্তি অটো সেচ পাম্প। তবে সরকারী অনুদান কিংবা সহায়তা পেলে এ যুবক হতে পারে একজন সফল বিজ্ঞানী।
পবন যখন গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ভোকেশনাল বিভাগের নবম শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় শুরু করে বিজ্ঞান নিয়ে খেলা। সে সময় তার ভাই অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন এমন একটা কিছু করতে হবে যাতে সবাই তাকে মনে রাখে। এ অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে খুটি নাটি বিষয়ে মনোযোগ সহকারে কাজ করা শুরু হয়। অন্যদিকে সকুল শিক্ষক আনিচুজ্জামান বকুল সাহস যোগান বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ গ্রহণে। চলতে থাকে একের পর এক গবেষণা।
নানা বিষয়ে গবেষণা করে সফল হলেও তার প্রথম সফল প্রজেক্ট হচ্ছে ুসেভেন ইন ওয়ান হাউজচ প্রজেক্ট। ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে এটি প্রথম স্থান অধিকার করে। এর মধ্যে রয়েছে অগ্নীর সুত্রপাত ঘটলে সংকেত প্রদান, গৃহের গ্রীল স্পর্শ করলেই গৃহকর্তা টের পাবেন লোকজনের উপস্থিতি। জোয়ার ভাটার পরিস্থিতি অবলোকন, বৃষ্টির আগাম সংকেত পাবার সাথে সাথে সরাসরি কাপড় চোপড় ঘরে আসা ও বৃষ্টি থেমে গেলে তা যথারীতি শুকিয়ে যাবে। রিমোর্ট কন্ট্রোল ছাড়াই হাতের ইশারায় ফ্যান, লাইট ও টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। মোট ৭টি ইলেক্ট্রিক সিগনাল কাজ করে এ প্রযুক্তিতে। এতে খরচ হয় প্রায় দেড় হাজার টাকা।
২৫ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে তার বিষয় ছিলো সয়ংক্রিয় টোল আদায় ও সিঁড়ির ব্যবস্থা। ২৭ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের বিষয় ছিলো এসি রিমোর্ট কন্ট্রোল। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন করা যাবে। এছাড়াও কিভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়ীকে নিরাপদ রাখা যায় তা দেখানো হয়েছে বিজ্ঞান মেলায়। যেমন, তালাবদ্ধ বাড়ীতে কোন আগনত্মক প্রবেশ করলে বাড়ির ভেতরে রাখা ডিভাইসটি গৃহকর্তাকে সংকেত প্রদান করবে যার দুরত্ব হবে অনত্মঃত ৪ কিলোমিটার পর্যনত্ম। যদি গৃহকর্তা উপস্থিত হতে না পারেন তবে ডিভাইসটি পুরো পরিস্থিতির একটি ভিডিও চিত্র করে রাখবে।
বাংলার রাইট হয়ে আকাশ জয়ের স্বপ্ন পবনের। এক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সফল হয়েছেন তিনি। তবে মুল কাজে হাত দিতে পারেননি। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে। ফলে পে¬ন তৈরী স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ পে¬ন অনেক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। যা নিয়ন্ত্রিত হবে রিমোটের মাধ্যমে। সম্ভাব্য ব্যয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ পে¬নটি আকাশে উড়ে গনত্মব্যে যাওয়া ছাড়াও ভিডিও করে নিয়ে আসতে পারবে সয়ংক্রিয় ভাবে।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী নূরুল ইসলাম পবনের নতুন প্রযুক্তি অটো সেচ পাম্প। যা বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে পবন জানান, গ্রামের কৃষক আতর আলী মাঠে সেচ দেয়ার জন্য রাত্রে যাতায়াত করতেন। মাঝে মধ্যে সন্ত্রাসীদের কবলে পড়তে হতো। সেচ দিতে না পারায় তার ফসল হানী হয়। বিষয়টি মাথায় ঢুকে। কিভাবে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব? সেই থেকে গবেষনা শুরু। প্রযুক্তি গত দিক দিয়েও সফল। একটি ইলেকট্রিক সার্কিট ও একটি মোবাইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত এটি। তিনি আরো জানান, জমিতে পানির প্রয়োজনীয়তা অনুভুত হলে মোবাইল ফোনে মিস কল দিলেই সেচ পাম্প অন হবে। আর যদি পানির প্রয়োজনীয়তা না থাকে তখন সেটি কোন কাজ করবে না। এটিতে সর্বোচ্চ খরচ হবে দেড় থেকে দুহাজার টাকা। গাংনীতে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান উৎসব/০৭ এ এটি সেরা বলে প্রসংশিত হয়।
অর্থনৈতিক টানা পোড়নের কারণে নূরুল ইসলাম পরনের গবেষনা বেশ থমকে গেছে।বর্তমানে সে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সামান্য বেতনে কর্মরত এ আত্ম প্রত্যয়ী ক্ষুদে বিজ্ঞানী যেটুকু সময় পান সেটুকুতেই গবেষনা করেন। তার স্বপ্ন দেশের মানুষের উপকার করা। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট গবেষনার পথ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরাও চাই পবন দেশের মুখ উজ্জল করুক। পবনের সাথে যোগাযোগ ০১৭১৯-৬২৪০২৮ নং মোবাইল ফোনে। যদি কেউ এগিয়ে আসে তার সহায়তায়।
পবন যখন গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ভোকেশনাল বিভাগের নবম শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় শুরু করে বিজ্ঞান নিয়ে খেলা। সে সময় তার ভাই অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন এমন একটা কিছু করতে হবে যাতে সবাই তাকে মনে রাখে। এ অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে খুটি নাটি বিষয়ে মনোযোগ সহকারে কাজ করা শুরু হয়। অন্যদিকে সকুল শিক্ষক আনিচুজ্জামান বকুল সাহস যোগান বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ গ্রহণে। চলতে থাকে একের পর এক গবেষণা।
নানা বিষয়ে গবেষণা করে সফল হলেও তার প্রথম সফল প্রজেক্ট হচ্ছে ুসেভেন ইন ওয়ান হাউজচ প্রজেক্ট। ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে এটি প্রথম স্থান অধিকার করে। এর মধ্যে রয়েছে অগ্নীর সুত্রপাত ঘটলে সংকেত প্রদান, গৃহের গ্রীল স্পর্শ করলেই গৃহকর্তা টের পাবেন লোকজনের উপস্থিতি। জোয়ার ভাটার পরিস্থিতি অবলোকন, বৃষ্টির আগাম সংকেত পাবার সাথে সাথে সরাসরি কাপড় চোপড় ঘরে আসা ও বৃষ্টি থেমে গেলে তা যথারীতি শুকিয়ে যাবে। রিমোর্ট কন্ট্রোল ছাড়াই হাতের ইশারায় ফ্যান, লাইট ও টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। মোট ৭টি ইলেক্ট্রিক সিগনাল কাজ করে এ প্রযুক্তিতে। এতে খরচ হয় প্রায় দেড় হাজার টাকা।
২৫ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে তার বিষয় ছিলো সয়ংক্রিয় টোল আদায় ও সিঁড়ির ব্যবস্থা। ২৭ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের বিষয় ছিলো এসি রিমোর্ট কন্ট্রোল। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন করা যাবে। এছাড়াও কিভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়ীকে নিরাপদ রাখা যায় তা দেখানো হয়েছে বিজ্ঞান মেলায়। যেমন, তালাবদ্ধ বাড়ীতে কোন আগনত্মক প্রবেশ করলে বাড়ির ভেতরে রাখা ডিভাইসটি গৃহকর্তাকে সংকেত প্রদান করবে যার দুরত্ব হবে অনত্মঃত ৪ কিলোমিটার পর্যনত্ম। যদি গৃহকর্তা উপস্থিত হতে না পারেন তবে ডিভাইসটি পুরো পরিস্থিতির একটি ভিডিও চিত্র করে রাখবে।
বাংলার রাইট হয়ে আকাশ জয়ের স্বপ্ন পবনের। এক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সফল হয়েছেন তিনি। তবে মুল কাজে হাত দিতে পারেননি। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে। ফলে পে¬ন তৈরী স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ পে¬ন অনেক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। যা নিয়ন্ত্রিত হবে রিমোটের মাধ্যমে। সম্ভাব্য ব্যয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ পে¬নটি আকাশে উড়ে গনত্মব্যে যাওয়া ছাড়াও ভিডিও করে নিয়ে আসতে পারবে সয়ংক্রিয় ভাবে।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী নূরুল ইসলাম পবনের নতুন প্রযুক্তি অটো সেচ পাম্প। যা বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে পবন জানান, গ্রামের কৃষক আতর আলী মাঠে সেচ দেয়ার জন্য রাত্রে যাতায়াত করতেন। মাঝে মধ্যে সন্ত্রাসীদের কবলে পড়তে হতো। সেচ দিতে না পারায় তার ফসল হানী হয়। বিষয়টি মাথায় ঢুকে। কিভাবে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব? সেই থেকে গবেষনা শুরু। প্রযুক্তি গত দিক দিয়েও সফল। একটি ইলেকট্রিক সার্কিট ও একটি মোবাইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত এটি। তিনি আরো জানান, জমিতে পানির প্রয়োজনীয়তা অনুভুত হলে মোবাইল ফোনে মিস কল দিলেই সেচ পাম্প অন হবে। আর যদি পানির প্রয়োজনীয়তা না থাকে তখন সেটি কোন কাজ করবে না। এটিতে সর্বোচ্চ খরচ হবে দেড় থেকে দুহাজার টাকা। গাংনীতে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান উৎসব/০৭ এ এটি সেরা বলে প্রসংশিত হয়।
অর্থনৈতিক টানা পোড়নের কারণে নূরুল ইসলাম পরনের গবেষনা বেশ থমকে গেছে।বর্তমানে সে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সামান্য বেতনে কর্মরত এ আত্ম প্রত্যয়ী ক্ষুদে বিজ্ঞানী যেটুকু সময় পান সেটুকুতেই গবেষনা করেন। তার স্বপ্ন দেশের মানুষের উপকার করা। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট গবেষনার পথ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরাও চাই পবন দেশের মুখ উজ্জল করুক। পবনের সাথে যোগাযোগ ০১৭১৯-৬২৪০২৮ নং মোবাইল ফোনে। যদি কেউ এগিয়ে আসে তার সহায়তায়।