মেহেরপুরের গাংনীতে১যুগ পরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি জোতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
আমিরুল ইসলাম-মেহেরপুরের গাংনীর এক অবহেলিত নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ জোতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় । নানা সমস্যায় জর্জরিত এই বিদ্যালয়ে লেখাপা...
আমিরুল ইসলাম-মেহেরপুরের গাংনীর এক অবহেলিত নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ জোতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই বিদ্যালয়ে লেখাপাড়ার মান ভালো হলেও শিক্ষা প্রশাসনের দৃষ্টিতে আজও পড়েনি। ১ যুগ পার হলেও এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী অর্থাভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গাংনী কুষ্টিয়া সড়কের জোড়পুকুরিয়া তেরাইল নামক স্থানে এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফজলুর রহমান বিশ্বাস কতিপয় সম্মনা শিক্ষানুরাগীদের সাথে নিয়ে নারী শিক্ষার উন্নয়ন কল্পে ২ গ্রামের আদ্য অক্ষর নিয়ে জোতি নামে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ অব কাঠামো নির্মানে আর্থিক সহোযোগিতা করেন। পরবর্তীতে শিক্ষকমন্ডলীর উন্নয়ন সহযোগিতায় পরিপূর্ণ রূপ লাভ করে। ৫০ জন ছাত্রী নিয়ে প্রথমে জুনিয়র হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষিকা খুরশিদা খাতুনের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ম থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এক দল ¯^v_©‡Y^lx মহল বার বার চক্রানত্ম করে স্কুল ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যেই রাজনৈতিক বিভেদের কারণে আর একটি মহল ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জেটিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নামে স্কুল খাঁড়া করে। এর পর থেকেই প্রবাবশালী মহল জোতি বালিকা বিদ্যালয়টি বন্ধ করতে টিউবয়েল ঘরের টিন চুরি এমনকি আগুন পর্যনত্ম ধরিয়ে দেয়। তারপরেও ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক কর্মচারীরা হাল না ছেড়ে স্কুল চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রাথমিক অনুমোদন লাভ করেছে। বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ২৭৫ জন। শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ জন। সকল শিক্ষক মন্ডলীর আনত্মরিকতার ফলে স্কুলের লেখাপড়ার মান ভাল এস, এস, সি পরীক্ষার ফলাফল সনেত্মাষজনক।
বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা খুরশির্দা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্কুল পরিচালনা করা হলেও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। পাকা সড়কের পার্শ্বে স্কুল হওয়ায় এক্ষনে স্কুলে প্রাচীর নির্মাণ জরুরী। অবিলম্বে এমপিও ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে প্রধান শিক্ষক সহ সকল অভিভাবক স্কুলটির সার্বিক কল্যাণ সুদৃষ্টি দেয়ার আবেদন জানিয়েছে। স্কুলে ছাত্রীদের বসার জন্য কক্ষ বেঞ্চ, চেয়ার, টেঁবিল, পাঠাগার, কম্পিউটার, স্যানিটেশন ব্যবস্থা করারও জোর দাবী জানানো হয়েছে।