তিন বছরেও নির্মান হয়নি গাংনী উপজেলা স্বস্থ্যকমপ্লেক্স নতুনভবন ॥নেপথ্যেঃ চাঁদা দাবী না অন্যকিছু?
তাহেরুল ইসলাম তপনঃ- গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কমপেক্সের ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ সম...
https://gangninews.blogspot.com/2010/02/blog-post_3901.html
তাহেরুল ইসলাম তপনঃ-
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কমপেক্সের ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ সমাপ্ত হওয়ার মেয়াদ দুমাস আগে শেষ হলেও মাত্র ৪২ভাগ কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা। কাজ বন্ধের বিষয়ে মিলেছে বিভিন্ন অভিযোগ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছেন, তার কাছে পৌর মেয়র ও সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেছে। তবে, পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবী করে বলের এটা কাজ না করার বাহানা। এদিকে নতুন ভবণ নির্মিত না হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যকলাপসহ রোগী ও জন সাধারণকে নানা ভোগানিত্ম পোহাতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে হাসপাতালের জনৈক কর্মকর্তা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোট সরকারের আমলে উচ্চ মহলে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে একসাথে তিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজে ধরে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধারনা ছিল এই জোট সরকারের আমলেই দায়সারাভাবে কাজটি শেষ করবে। কিন্তু তত্বাবধায়ক সরকার ও পরবর্তীতে মহাজোট ক্ষমতাই আসার ফলে দায়সারাভাবে কাজ করতে পারছে না বলেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে না। তিনি আরো বলেন, এক বছর না হয় মহাজোট ক্ষমতায় এসেছে। আগের দুবছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কি করেছিল? বিশ্বস্থসূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ কাজ করেছে তার চেয়ে অধিক বিল উত্তোলন ক
সুত্রে প্রকাশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিএমএমইউ (কনসট্রাকশান মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিট) এর তত্ত্বাবধানে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যায়ে ৩ জানুয়ারী ২০০৭ এ ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। নির্মান কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মহাম্মদপুরের ওয়াহেদ ট্রেডার্স কাজের শুরুতেই গড়িমসি করতে থাকে বলে অভিযোগ তুলেছেন সিএমএমইউ। ১৮ মাস ২৩ দিনের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার কথা থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণের দুমাস পূর্ণ হলেও মাত্র ৪২ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার সেলিম দাবি করেছেন, পৌরসভার ট্যাক্স পরিশোধ ও অনুমোদন না নিয়ে ভবন নির্মান করায় পৌর কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাজ বন্ধ করার জন্য পত্র প্রদান করেছে। তাই নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিরসন না হওয়া পর্যনত্ম নির্মান কাজ শুরু করা হবে না।
এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ আবু মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, গত বছর ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। শুরু থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুবই ধীর গতিতে কাজ করছিল। কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে বললেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। বিষয়টি সিএমএমইউ কুষ্টিয়াকে অবহিত করা হয়। কুষ্টিয়ার সিএমএমইউ এর সহকারী প্রকৌশলী মীর আব্দুল হান্নান কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু করার জন্য জানুয়ারী ০৯ থেকে ডিসেম্বর ০৯ পর্যনত্মত্ম ৯ বার পত্র প্রদান করেছেন।
কুষ্টিয়া সিএমএমইউ এর সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলম জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বারবার তাদেরকে অবহিত করা হলেও কাজ শুরু করেনি। চরম পত্র দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। পৌরসভার বাঁধা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য পত্র প্রদান করার আগে থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে অবহেলা করছিল। পৌরসভার চিঠিটি ইস্যু করে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ রেখেছে। পালিয়ে না গিয়ে পৌরকর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা যেত।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী জানান, পৌরসভার ট্যাক্স পরিশোধ এবং অনুমোদন নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পত্র প্রদান করা হয়েছে। কাজ বন্ধ করার জন্য বা বন্ধ করতে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করা হয়নি। কোন চাঁদা দাবীর ঘটনাও ঘটেনি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে পৌর কর্তৃপক্ষকে অযথা দোষারোপ করছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কমপেক্সের ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ সমাপ্ত হওয়ার মেয়াদ দুমাস আগে শেষ হলেও মাত্র ৪২ভাগ কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা। কাজ বন্ধের বিষয়ে মিলেছে বিভিন্ন অভিযোগ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছেন, তার কাছে পৌর মেয়র ও সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেছে। তবে, পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবী করে বলের এটা কাজ না করার বাহানা। এদিকে নতুন ভবণ নির্মিত না হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যকলাপসহ রোগী ও জন সাধারণকে নানা ভোগানিত্ম পোহাতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে হাসপাতালের জনৈক কর্মকর্তা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোট সরকারের আমলে উচ্চ মহলে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে একসাথে তিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজে ধরে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধারনা ছিল এই জোট সরকারের আমলেই দায়সারাভাবে কাজটি শেষ করবে। কিন্তু তত্বাবধায়ক সরকার ও পরবর্তীতে মহাজোট ক্ষমতাই আসার ফলে দায়সারাভাবে কাজ করতে পারছে না বলেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে না। তিনি আরো বলেন, এক বছর না হয় মহাজোট ক্ষমতায় এসেছে। আগের দুবছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কি করেছিল? বিশ্বস্থসূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ কাজ করেছে তার চেয়ে অধিক বিল উত্তোলন ক
সুত্রে প্রকাশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিএমএমইউ (কনসট্রাকশান মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিট) এর তত্ত্বাবধানে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যায়ে ৩ জানুয়ারী ২০০৭ এ ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। নির্মান কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার মহাম্মদপুরের ওয়াহেদ ট্রেডার্স কাজের শুরুতেই গড়িমসি করতে থাকে বলে অভিযোগ তুলেছেন সিএমএমইউ। ১৮ মাস ২৩ দিনের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার কথা থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণের দুমাস পূর্ণ হলেও মাত্র ৪২ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার সেলিম দাবি করেছেন, পৌরসভার ট্যাক্স পরিশোধ ও অনুমোদন না নিয়ে ভবন নির্মান করায় পৌর কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাজ বন্ধ করার জন্য পত্র প্রদান করেছে। তাই নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিরসন না হওয়া পর্যনত্ম নির্মান কাজ শুরু করা হবে না।
এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ আবু মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, গত বছর ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। শুরু থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুবই ধীর গতিতে কাজ করছিল। কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে বললেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। বিষয়টি সিএমএমইউ কুষ্টিয়াকে অবহিত করা হয়। কুষ্টিয়ার সিএমএমইউ এর সহকারী প্রকৌশলী মীর আব্দুল হান্নান কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু করার জন্য জানুয়ারী ০৯ থেকে ডিসেম্বর ০৯ পর্যনত্মত্ম ৯ বার পত্র প্রদান করেছেন।
কুষ্টিয়া সিএমএমইউ এর সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলম জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বারবার তাদেরকে অবহিত করা হলেও কাজ শুরু করেনি। চরম পত্র দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। পৌরসভার বাঁধা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য পত্র প্রদান করার আগে থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে অবহেলা করছিল। পৌরসভার চিঠিটি ইস্যু করে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ রেখেছে। পালিয়ে না গিয়ে পৌরকর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা যেত।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী জানান, পৌরসভার ট্যাক্স পরিশোধ এবং অনুমোদন নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পত্র প্রদান করা হয়েছে। কাজ বন্ধ করার জন্য বা বন্ধ করতে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করা হয়নি। কোন চাঁদা দাবীর ঘটনাও ঘটেনি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে পৌর কর্তৃপক্ষকে অযথা দোষারোপ করছে।