নিউজ ডেস্ক- শেষ পর্যনত্ম মেহেরপুরের গাংনীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সমঝোতা রক্ষা হয়নি।বিজয় দিবস পালন সৃষ্ঠ সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১১ জন। কলংকিত হয়েছে গাংনী।
সূত্রে প্রকাশ,মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে গাংনীতে আওয়ামীলীগের বিবাদ মান দু’টি গ্রুপ একই স্থান গাংনী বাস ষ্ট্যান্ডে শহীদ রেজাউল চত্ত্বরে কর্মসূচী পালনের ডাক হয়। বড় ধরনের সহিংসা হতে পারেএ আসংকায় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারে নেতৃত্বে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ বৈঠক শেষে নিজ নিজ নেতার বাড়ির সামনে বিজয় দিবসের কর্মসুচী উদ্যাপনের সিদ্ধানত্ম গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক এমএ খালেকের বাসার সামনে থানা রোডে কর্মসুচী উদযাপনের প্রসু্তুতি নেয়া হয়। অন্যদিকে সাবেক এম,পি মকবুল হোসেনর পক্ষ থেকে গাংনী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সময়ে মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের পাশে কর্মসূচী উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়,প্রশাসনের কাছে সহিংসতা ত্যাগের ওয়াদা করা হলেও উভয়ে গোপনে গোপনে নিজ নিজ সার্মথ্য অনুযায়ী শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে প্রকাশ,সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এক র্যালি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করে ফিরছিলেন। এ র্যালির নেতৃত্ব ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেচুর রহমান মুকুল,উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী এম এ খালেক,আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মহাসিন আলী। উপজেলা আওয়ামীলীগের র্যালিটি থানা মোড়ে পৌছলে সাবেক এম,পি মকবুল হোসেনের সমর্থিত র্যালিটি গাংনী কলার হাটে অবস্থান করছিল। উভয় র্যালিতে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা দিচ্ছিলেন। তখন সকাল সোয়া ১০টা। এ সময় কোন এক র্যালি থেকে অপর র্যালিকে লক্ষ করে ইট নিক্ষেপ করা হয়। এতেই শুরু হয় সংঘর্ষ। কেউ বলেছে প্রথমে মকবুল হোসেন সমর্থিত র্যালি থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের শানিত্মপূর্ণ র্যালিতে ইট নিক্ষেপ করা হয়। কেউ বলেছে না প্রথমে উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন সদস্য মকবুল হোসেনের র্যালিতে ইট নিক্ষেপ করে। আবার অনেকে বলেছে না উভয় গ্রুপের নেতা কর্মীদের মাঝে ছিলক্ষোভ ও উত্তেজোনা। তৃতীয় কোন পক্ষ সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেওয়ার জন্য ইট নিক্ষেপ করতে পারে। এতে শুরু হয় উভয়ের মধ্যকার সংঘর্ষ। এ সময় প্রশাসনের লোকজন বিবাদ নিরসনের উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়। ঘন্টা দু’ই চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এতে এক পুলিশ সদস্য সহ আহত হয় উভয় গ্রুপে অনত্মঃত ১০ জন এরা হলেন- ২১ আনসার ব্যাটানিয়ান সদস্য আশরাফুল (৩৫) যার নং ০৯১২৪২৪,মালসাদহ গ্রামের সেলিম (২৬) উত্তর পাড়ার যুবলীগ কর্মী মহিবুল (৪০),গাংনী থানা পাড়ার রবিউল (৫৫),গাংনী পৌর কর্মচারী মাহাতাব উদ্দিন,যুবলীগ নেতা শেক আনিচুজ্জামান লুইস,যুবলীগের সম্পাদক পলাশ,আওয়ামীলীগ নেতা একরামূল হক,আওয়ামীলীগ নেতা কুদ্দুস,ছেন্টু,শহিদুল,আতিয়ার,মিজানুর,লিটন,ইউনুচ । সংঘর্ষের বর্ণনা দিয়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন- প্রথমে উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যনত্ম অসহায়ের মত এলাকা ত্যাগ করে গাংনী থানা পুলিশের সদস্যরা। মাঠে থাকে র্যাব সদস্যরা শেষে কমান্ডার এ,এস,পি জাহিদের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এব্যাপারে এম,এ খালেক বলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে শানিত্ম প্রিয় র্যালি শেষে ফিরছিলেন,এমন সময় মকবুল হোসেনের বাহিনিরা অর্তকিত হামলা করে। শেষ পর্যনত্ম র্যালির প্রতিবাদী Kɯ^i সোচ্চার হয়ে তাদের তাড়া করে। শেষ পর্যনত্ম নেতাকর্মীরা প্রতিবাদী গাংনীবাসিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মকবুল হোসেনের পক্ষ থেকে বলা হয় গণজোয়ার দেখে এম এ খালেক হিংসাত্নক কর্মকান্ড চালাতে গিয়েই গত দিনের সংঘর্ষের সুচনা করে। এ ব্যাপারে শত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে ওসি সগির মিয়া বলেন- কোন পক্ষ সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছি জানিনা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। পরিবেশ শানত্ম রয়েছে।