স্বামী ফিরে আসবে এ অপেক্ষায় সখিনা বেগম।
এলাকা ঘুরে এম এ লিংকনঃ আমার মনে হয় একদিন না একদিন ও ফিরে আসবেই। ঘুমাতে গেলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওর মুখ। সবাই বলে ও আর আসবেনা তার পরও আমার ম...
https://gangninews.blogspot.com/2009/12/blog-post_6235.html
এলাকা ঘুরে এম এ লিংকনঃ আমার মনে হয় একদিন না একদিন ও ফিরে আসবেই। ঘুমাতে গেলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওর মুখ। সবাই বলে ও আর আসবেনা তার পরও আমার মনে হয় ও একদিন আসবে।কথাগুলো বলছিলেন গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের বিধবা সখিনা বেগম। ১৯৭১ সালের ১৭ জুলাই বাতে দু’পাক সেনাকে হত্যা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যুদ্ধে যাবার পর আর ফিরে আসেনি। সখিনার ভাবনা তার স্বমী ওমর আলী শাহ আজো বেঁচে আছে।
বিধবা সখিনা বেগম জানান, সেদিন ৩ জন পাক সেনা বাড়িতে এসে মা-বোনদের উপর নির্যাতন চালাতে গেলে স্বমী ওমর আলী শাহ ধারালো হাসুয়া দিয়ে দু’জনকে কুপিয়ে অস্ত্রনিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাসত্মার উপর দাড়িয়ে থাকা অপর পাকসেনা ওমর আলীর পায়ে গুলি করলে সে আহত হয়। সেঅবস্থায় সিমানত্ম এলাকায় গেলে গ্রামের জনৈক ঝড়ু ভারতের শিকারপুর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে অস্ত্র জমাদেয় ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমরা পরে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিই। ওখানকার লোকজন জানান, ওমর্ আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
দেশ স্বাধীন হবার পর ফিরে এসে দেখি ভিটে মাটি সব দখল করে নিয়েছে রাজাকাররা। কোন জায়গা না পেয়ে রাসত্মার উপর কুড়েঘর তুলে বসবাস শুরু করি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যে খাবার পেতাম তা দিয়ে কোন মতে সনত্মানদের বড় করতে থাকি।বর্তমানে বিধবা সখিনা বেগম সরকারী ভাতা পাচ্ছেন। তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ ও জিবন যুদ্ধে তিনি জয়ী তার পরও স্বমীর কথা মনে হলে কিছু ভাল লাগেনা। মনে হয় তিনি বেঁচে আছেন।
সবাই জানে মুক্তি যোদ্ধা ওমর আলী শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সখিনা বেগমের তা বিশ্বাস হয়না। জানিনা তার প্রতিক্ষার পালা শেষ হবে কবে।