সরেজমিনে গাংনীর ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্প পানীয় জলে আর্সেনিক, শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা।
আবু হোসেনঃ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে গাংনীর ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় অপরাধী সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণ,...
https://gangninews.blogspot.com/2009/12/blog-post_3114.html
আবু হোসেনঃ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে গাংনীর ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় অপরাধী সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণ,ভ্রাম্যমান পতিতাদের আনাগোনা রয়েছে এ আবাসন প্রকল্পে। পানীয় জলের অভাব ও চিকিৎসা বঞ্চিত শিশুরা ভুগছে অপুষ্টিতে। পিতা- মাতার অবহেলা, কুসংস্কার ও দারিদ্রতার কারনেএখাননকার ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়না। আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদেরও সমাজের নিচু লোক ভেবে অনেেই আত্নীয়তা করতে চায়না। ফলে ৫০টি পরিবারের মধ্যে অন্ততঃ ২৫টি পরিবার আবাসন ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ভাটপাড়া নীলকুঠির এক প্রান্তে এই আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয় ২০০৪ সালে। নীল কঠির ৬৬বিঘা জমির মধ্যে ১০ বিঘা জমির উপর এ আবাসন প্রকল্প তৈরা করা হয় ভূমিহীন ও আশ্রয়হীনদের আশ্রয় নিশ্চিত করনের জন্য। ৫টি ব্যারাক হাউজের প্রত্যোকটিতে ১০টি করে মোট ৫০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৫টি পায়খানা, ৫টি প্রসাবখানা, একটি কমিউনিটি সেন্টার ও রয়েছে ৫টি টিউবয়েল। এ আবাসনের একেকটি পরিবারের জন্য একটি করে কক্ষ বরাদ্দ। সেই সাথে পরিবার প্রধানদের জন্য ৫শতক জমি সরকারী খরচে রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়। লাগানো হয় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ যা ছায়াদান করবে।
প্রথমদিকে এ আবাসনের লোকজন বেশ ¯^v”Q‡›` দিনপাত করলেও পরবর্তীতে দেখা দেয় নানা বিপত্তি। আবাসনের ৫টি নলকূপের মধ্যে ৩টিতে আর্সেনিক দেখা দিয়েছে। ফলে পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়। সেই সাথে পিতা-মাতার অবহেলা, কুসংস্কার, দারিদ্রতার কারনে অপুষ্টিতে ভুগছে এখানকার শিশুরা। আবাসনের কোন ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায়না। আবার আশ্রয়হীন ও নিচু শ্রেণীর লোক ভেবে অনেকেই এদের সাথে আত্মীয়তা করতে চাই না। কেউ ভাল আচরণ ও করেনা।
আবাসন প্রকল্পের অনেকেই অভিযোগ করে বললেন, প্রথম পর্যায় প্রকৃত ভূমিহীনদেরকে এই ঘর বরাদ্দ না দিয়ে যাদের জায়গা জমি আছে তাদে দেয়া হয়। তারা এই ঘর বিক্রি করে চলে গেছে অন্যত্র। প্রকৃত ভূমিহীনরা আজো রয়েছে। আবার ঘর দখলের জন্য অপরাধীদের হুমকি ধামকিতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র। প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনদের আনাগোনা না থাকায় এখানে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। ফলে কয়েকমাসের মধ্যেই হয়তো এ আবাসন প্রকল্পটি সম্পূর্ন রূপে খালি হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সন্ত্রাসীরা এখানে আসে। তারা কুপ্রবৃাত্ত চরিতার্থ করার জন্য পতিতাদের নিয়ে আসে। এদের কুকর্ম দেখে খারাপ লাগলেও কিছু বলার সাহস নেই।
লজ্জা ও ভয়ে বাইরে বেরুতে পারিনি। আমরাও জায়গা খুজছি। সুযোগ পেলে চলে যাবো। অন্যদিকে আমাদেরকে নীচু জাত ভেবে কেউ কাজে নিতে চায়না। ফলে অর্থাভাবে, অনাহারে, অর্ধহারে দিন চলে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ভূমি অফিস জানান, আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠার পর থেকে নীলকুঠির অনেক গাছ প্রকাশ্যে কেটে বিক্রি করা হয়েছে। ৬৬ বিঘা জমির প্রায় অর্ধেক প্রবাবশালীদের দখলে। সরকার যে উদ্দেশ্যে আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলেছিলো তা বাস্তবায়িত হয়নি। এটা এখন অপরাধীদের অভয়ারন্য। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ভাটপাড়া নীলকুঠির এক প্রান্তে এই আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয় ২০০৪ সালে। নীল কঠির ৬৬বিঘা জমির মধ্যে ১০ বিঘা জমির উপর এ আবাসন প্রকল্প তৈরা করা হয় ভূমিহীন ও আশ্রয়হীনদের আশ্রয় নিশ্চিত করনের জন্য। ৫টি ব্যারাক হাউজের প্রত্যোকটিতে ১০টি করে মোট ৫০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৫টি পায়খানা, ৫টি প্রসাবখানা, একটি কমিউনিটি সেন্টার ও রয়েছে ৫টি টিউবয়েল। এ আবাসনের একেকটি পরিবারের জন্য একটি করে কক্ষ বরাদ্দ। সেই সাথে পরিবার প্রধানদের জন্য ৫শতক জমি সরকারী খরচে রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়। লাগানো হয় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ যা ছায়াদান করবে।
প্রথমদিকে এ আবাসনের লোকজন বেশ ¯^v”Q‡›` দিনপাত করলেও পরবর্তীতে দেখা দেয় নানা বিপত্তি। আবাসনের ৫টি নলকূপের মধ্যে ৩টিতে আর্সেনিক দেখা দিয়েছে। ফলে পানীয় জলের অভাব দেখা দেয়। সেই সাথে পিতা-মাতার অবহেলা, কুসংস্কার, দারিদ্রতার কারনে অপুষ্টিতে ভুগছে এখানকার শিশুরা। আবাসনের কোন ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায়না। আবার আশ্রয়হীন ও নিচু শ্রেণীর লোক ভেবে অনেকেই এদের সাথে আত্মীয়তা করতে চাই না। কেউ ভাল আচরণ ও করেনা।
আবাসন প্রকল্পের অনেকেই অভিযোগ করে বললেন, প্রথম পর্যায় প্রকৃত ভূমিহীনদেরকে এই ঘর বরাদ্দ না দিয়ে যাদের জায়গা জমি আছে তাদে দেয়া হয়। তারা এই ঘর বিক্রি করে চলে গেছে অন্যত্র। প্রকৃত ভূমিহীনরা আজো রয়েছে। আবার ঘর দখলের জন্য অপরাধীদের হুমকি ধামকিতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র। প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনদের আনাগোনা না থাকায় এখানে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। ফলে কয়েকমাসের মধ্যেই হয়তো এ আবাসন প্রকল্পটি সম্পূর্ন রূপে খালি হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সন্ত্রাসীরা এখানে আসে। তারা কুপ্রবৃাত্ত চরিতার্থ করার জন্য পতিতাদের নিয়ে আসে। এদের কুকর্ম দেখে খারাপ লাগলেও কিছু বলার সাহস নেই।
লজ্জা ও ভয়ে বাইরে বেরুতে পারিনি। আমরাও জায়গা খুজছি। সুযোগ পেলে চলে যাবো। অন্যদিকে আমাদেরকে নীচু জাত ভেবে কেউ কাজে নিতে চায়না। ফলে অর্থাভাবে, অনাহারে, অর্ধহারে দিন চলে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ভূমি অফিস জানান, আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠার পর থেকে নীলকুঠির অনেক গাছ প্রকাশ্যে কেটে বিক্রি করা হয়েছে। ৬৬ বিঘা জমির প্রায় অর্ধেক প্রবাবশালীদের দখলে। সরকার যে উদ্দেশ্যে আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলেছিলো তা বাস্তবায়িত হয়নি। এটা এখন অপরাধীদের অভয়ারন্য। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।