গাংনীতে স্যাঁকরাদের দুর্দিন !
আবু হোসেনঃ দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বাড়লেও স্যাঁকরাদের মজুরী বাড়েনি । অপরদিকে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ লোকজন ইমিটেশনের প্রতি ঝুঁকে...
https://gangninews.blogspot.com/2009/12/blog-post_3615.html
আবু হোসেনঃ দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বাড়লেও স্যাঁকরাদের মজুরী বাড়েনি। অপরদিকে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ লোকজন ইমিটেশনের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। গহনার কাজকর্ম অনেকটা কমে যাওয়ায় স্যাঁকরাদের জীবনে নেমে এসেছে দৈন্যদশা। অনেকেই পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, বছর দশেক আগে স্বর্ণের দাম ২২ ক্যারেট সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও ১৮ ক্যারেট ছিল সাড়ে ৬ হাজার টাকা। সেসময় স্যাঁকরাগণ একটা হার তৈরী করতে মজুরী পেত ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা। আংটি ২০ টাকা, নাক ফুল ১০, টায়রা ২০, দুল ৫০, চুড়ি ২০ টাকা। বর্তমানে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ২২ ক্যারেট ২৯ হাজার ও ১৮ ক্যারেট ২৪ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। কিন্তু স্যাঁকরাদের মজুরি সেই আগের মতই আছে। কোন পরিবর্তন নেই।
গাংনী বাজারে প্রবীণ স্যাঁকরা মনোরঞ্জন পাত্র জানালেন ৩০ বছর ধরে একাজ করছি। আগেও যা মজুরি ছিল এখনো তাই। বছর দশেক আগে গ্রামে গ্রামে বউ-ঝিদের গয়না তৈরী করে ভালই আয় হতো। এখন স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রাম গঞ্জের মেয়েরা ইমিটেশনের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। তাই কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
স্বর্ণ শিল্পী সজল কুমার পাত্র জানান ৭/৮ বছর আগে ১২/১৪ টাকা দরে চা’ল কিনতে হতো। কিন্তু এখন কিনতে হয় ২৫/৩০ টাকা দরে। দফায় দফায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বাড়লেও বাড়েনি স্যাঁকরাদের মজুরি। তাই দৈন্যদশা থেকে মুক্তি পেতে ইতোমধ্যে অনেকেই পেশা বদল করেছে। পেশা বদলকারি চর্মকার সিদ্ধার্থ ও নরসুন্দর উত্তম কুমার জানান পৈতৃক পেশা ছাড়তে কষ্ট হলেও উপায় খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পেশা বদল করতে হয়েছে। বর্তমানে বেশ ভালই আছি। তবে জুয়েলারী ব্যবসায় যারা জড়িত তাদের উচিৎ কারিগরদের মজুরি বাড়ানো।