শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গাংনীতে জমে উঠেছে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা।
আবু হোসেনঃ জলবায়ু বিপর্যয়ে গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরম, শীতে তীব্র শীত। সারা দেশের ন্যায় গাংনীতেও শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে জমে উঠেছে শহ...
https://gangninews.blogspot.com/2009/12/blog-post_1764.html
আবু হোসেনঃ
জলবায়ু বিপর্যয়ে গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরম, শীতে তীব্র শীত। সারা দেশের ন্যায় গাংনীতেও শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে জমে উঠেছে শহরে পুরাতন গরম কাপড়ের জমজমাট ব্যবসা, তীব্র শীতে বিপর্যস্থ জন জীবণ। শীতে গরম কাপড় জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে হতদরিদ্র মানুষ। প্রচন্ড শীতে নিজেদের সাধ্যমত পছন্দের নতুন গরম কাপড় কিনতে না পারাই হতদরিদ্র মানুষ ছুটছে পুরাতন মার্কেটে। শুধু হতদরিদ্র মানুষেরা নয় ছুটছে ধনীরাও। অল্প দামে পুরতন কাপড় কিনে আয়রন করে দামী কাপড় করছে ধনীরা। প্রতিবছরের মত এ বছরও মেহেরপুরের গাংনী বাসষ্ট্যান্ডে হারুন শপিং মার্কেটের সামনে জমে উঠেছে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা। অস্থায়ী ভাবে গড়ে উঠাএ সব গরম কাপড়ের দোকানে ছুটে যাচ্ছে ক্রেতারা। অনেক খোঁজাখুজির পর উল্টে পাল্টে কিনে নিচ্ছে নিজের পছন্দের গরম কাপড়। এসব গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতাদের ভীড় বেশী লক্ষনীয়। শীতের কাপড় কিনতে আসা এ উপজেলা গ্রামের শিমূল তলা গ্রামের জনৈক গ্রহবুধু মোসত্মারী ও সেজুতি এ প্রতিনিধিকে জানান পরিবারে লোকসংখ্যা বেশি। সংসারের খরচ মিটাতে হিমশিম খেতে হয়। শীত এলেই নতুন করে বাড়তি খরচ গরম কাপড় কেনা। আমাদের মত স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য নতুন কাপড় কেনা সম্ভব নয়। তাই পুরতন মাকের্টে একটু খোঁজাখুজি করে ভাল গরম কাপড় পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। শীতে গরম কাপড়ের ব্যবসা কেমন চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে- ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম জানান, ব্যবসা ভালই হচ্ছে। শীত তো আমাদের ব্যবসার সময়। অপর ব্যবসায়ী নওশাদ আলী বলেন শীতে গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন বড় বড় কাপড়ের দোকানে গরম কাপড়ের চাহিদা থাকলেও আর্থিক সংগতির কারনে অনেকেই নতুন কাপড় কিনতে পারে না। স্বল্প আয়ের মানুষেরা সাধ্য অনুযায়ী গরম কাপড় কিনতে আসছে এসব পুরাতন মার্কেটে। তাই শীতে আমাদের ব্যবসা ভালই চলছে।