গাংনীতে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী তালগাছ।
আবু হোসেন- তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে.......... । এক সময় কবি সাহিত্যিকরা তাল গাছকে নিয়ে কবিতা লিখে বাংলার ঐতিহ্য...
https://gangninews.blogspot.com/2009/12/blog-post_7748.html
আবু হোসেন- তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে..........। এক সময় কবি সাহিত্যিকরা তাল গাছকে নিয়ে কবিতা লিখে বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতো। এক সময় গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে আনাচে কানাচে এবং বিভিন্ন আঙ্গিনায় সারি সারি তালগাছ শোভা পেতো। সেই দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। এখন কোন গ্রামের ঝোপ ও জঙ্গলের পাশে দু’একটি তালগাছ চোখে পড়ে। যে দু’একটি তালগাছ এখন চোখে পড়ে সে সব আবার কারও লাগানো নয় এমননিতেই এসব তাল গাছ ঝোপ জঙ্গলে বেড়ে উঠেছে। কেউ তাল খেয়ে তার বীজ ফেলে রেখে গেলে, সেই বীজ থেকে মূলত হয়ে ওঠা এসব তালগাছ। অতীতে অ-পরিচিত মানুষদের বাড়ি চিহ্নিত করতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তালগাছের সাহয্যে নেওয়া হতো। এমনকি সরকারি বে-সরকারী কাজেও নানা দিক নিদের্শনার ক্ষেত্রেও তালগাছের সহায়তা নেওয়া হতো। তালের পিঠা, তালের আঁটি, তালের রস সব মানুষের কাছে খুব মজাদার খাবার। বিশেষ করে তালের পিঠা দিয়েই অতীতে জামাই, মেয়ের, বেয়াই, শ্বশুর বাড়ি সহ নানা আত্মীয়তার বন্ধন রচিত হতো। অতীত সময় গুলোতে তাল পিঠা ছাড়া গ্রামে গঞ্জে আত্মীয়তা কল্পনাই করা যেতো না। এ ছাড়া ও তাল গাছের পাতায় তৈরী করা হতো নানা ডিজাইনের হাত পাখা, কিন্তু গ্রাম বাংলা থেকে ক্রমেই তাল গাছ হারিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ পরিবার গুলোতে নেই সেই তাল পিঠার আত্মীয়তা, নেই জামাই আদর আর কন্যা বরণ। তাল গাছের এসব ঐতিহ্য গত দিক ছাড়াও এ গাছের গুল দিয়ে কাঁচা ও পাকা ঘরের তলার (ছাদ) তৈরী করা হয়ে থাকে। ঘরের তলায় (ছাদ) বাঁশের তীরের চেয়ে তাল গাছের তীর অনেক মজবুত ও দীর্ঘ স্থায়ী হয়। অযত্ম, অবহেলা ও গুরুত্বের অভাবে এ সব তাল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকারী ও বে-সরকারী ভাবে নানা পদক্ষেপ নিয়ে অন্যান্য গাছের পাশাপাশি তালগাছ রোপনে উৎসাহী করা দরকার।