দৈন্যতার কারনে চ্যানেল আই-এর প্রতিযোগীতা থেকে ছিটকে পড়লো কণ্ঠ শিল্পি বাবুল অক্তার।সর্বশান্ত পরিবারটি
এম এ লিংকন গাংনী থেকে - চ্যানেল আই-এর দর্শক মন্ডলী ও বিশেষ করে বৃহত্তর কুষ্টিয়াবাসীর কাছে বাবুল একটি পরিচিত নাম । চ...
এম এ লিংকন গাংনী থেকে - চ্যানেল আই-এর দর্শক মন্ডলী ও বিশেষ করে বৃহত্তর কুষ্টিয়াবাসীর কাছে বাবুল একটি পরিচিত নাম। চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতা/০৯ এ অংশ গ্রহণের পর বারবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় উঠে এসেছে বাবুলের নাম। চ্যানেল আই-এর পর্দায় বহুবার ভেসে এসেছে তার প্রতিযোগিতার পর্ব। শ্রোতা- দর্শকদের ধারণায় ছিল উদীয়মান এই কণ্ঠ শিল্পীর সেরা-১১তে ঠাই পাওয়া এখন শুদু সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু নিতান্ত দরিদ্রতার কারণে শেষ পর্যন্ত বাবুল সেরা-১১ তে পৌছাতে ব্যর্থ হলো।
চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতা ২০০৯ এ বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার একমাত্র প্রতিযোগী ছিল এলাকা বাসীর প্রিয় মুখ, প্রিয় নাম বাবুল। খুলনা বিভাগ থেকে বাছাই হয়ে ঢাকার টিকিট নিয়ে বাবুল সেরা-৫০, সেরা-৩০, সেরা-২৫ ও সেরা ২০ এ স্থান পায়। সর্বশেষ গত ১৮ অক্টোবর সেরা- ১১ বাছাই পর্বে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে সেরা-১১ তে ঠাই করে নেয়। কিন্তু বিচারক মন্ডলীর মধ্য থেকে দু’জন বিচারক পাওয়ার গোল্ড কার্ডের শক্তি বলে আরো ৪ জনকে সম্পৃক্ত করে সেরা ১১’র সাথে। ফলে বাবুল আক্তারের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অজানা কারণে বিচারক মন্ডলীর পছন্দের বাইরে থেকে যায় বাবুল। শুরু হয় শ্রেতা-দর্শক মন্ডলীর এস, এম, এস এর মাধ্যমে নির্বাচন পব। এস, এম, এস এর মাধ্যমে নির্বাচন পর্বে এই প্রতিভাবান ও সম্ভাবনা ময়ী বৃহত্তর কুষ্টিয়া বাসীর গর্ব বাবুল শুধু মাত্র আর্থীক দৈন্যতার কারণে প্রয়োজনানুয়ী প্রচার প্রচারণা চালাতে পারেনি। নিজ উপজেলা তথা নিজ ইউনিয়ন বাসীর অনেকেই জানেনা তার কৃতিত্বের সংবাদ মুষ্টিমেয় হিতাকাংখি, সংস্কৃতি মনা ও নিকটজন তা সফলতা দারে পৌছে দিতে যথা সাধ্য চেষ্টা করেছন যা ছিল সীমিত পরিসরে। কয়েকজন হৃদয়বান ব্যক্তি বাবুলকে আর্থীক সহায়তা দিতে এগিয়ে আসলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। কিন্তু একটি মোবাইল কোন bv¤^vi থেকে যতখুশি এস, এম, এস পর্বে কোন বিত্তশালী ব্যক্তির সামান্যতম সহযোগিতা হয়তো বাবুলকে সেরা-১১ তে পৌছে দিতে পারতো। আর্থীক অসচ্ছলতার কারণে বাবুল ওই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং তার কৃতিত্বের সংবাদ খুব একটা পৌছে দিতে পারেনি সবার কাছে। ফলে বাবুল তার নিকটতম প্রতিযোগী অপেক্ষা মাত্র কয়েক হাজার এস, এম, এস পায় এবং সেরা-১১তে পৌছানোর সিড়ি থেকে ছিটকে পড়ে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে এস, এম, এস যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে বাবুল। আর্থীক দৈনতার কারনে হয়তো দেশের একমাত্র সরকারী সংগীত কলেজে পড়াশুনার ¯^cœ ও ভেঙ্গে যেতে পারে উদীয়মান এই কণ্ঠশিল্পীর। তাই বাবুলের মত একটি প্রতিভাকে বাঁচাতে কোন বিত্তশালী ব্যক্তি কিংবা কোন সংস্থার সাহায্য সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।