কুষ্টিয়া পুলিশের কথিত ক্রসফায়রে নিহত মামুনের পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন ।
গাংনী থেকে সাইদুর রহমানঃ - ডিবি পুলিশ কর্তৃক কথিত ক্রসফায়ারের নামে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মামুনকে হত্যার প্রতিবাদে নিহত মামুনের পরিবা...
গাংনী থেকে সাইদুর রহমানঃ- ডিবি পুলিশ কর্তৃক কথিত ক্রসফায়ারের নামে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মামুনকে হত্যার প্রতিবাদে নিহত মামুনের পরিবারের পক্ষ থেকে গত কাল বুধবার বিকেলে তার নিজ বাশভবন আকুবপুর গ্রামে সংাবাদিক সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। মামুনের পিতা রেজাউল করিম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমার ছেলে মামুনকে গত ০৪/১১/০৯ ইং তারিখে কুষ্টিয়ার ডিবি এএসপি আলমগীর হোসেন ও ওসি মিজানুর রহমান সাদা পোষাকে খলিশাকুন্ডি থকে মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রীজের কাছ থেকে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে যায়। আমি পুলিশের কাছে তাকে ধরার ব্যপারে খোজখবর নিলে ওসি বলেন তাকে সন্দেহ মূলক ধরা হয়েছে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হবে। পরে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দাবী করে বলে এসপি সাহেব ঢাকায় গেছেন ফিরে আসলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু গত ১৫/১১/০৯ ইং তারিখে পুলিশ আমার সনত্মানকে দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডী গ্রামে পাঁরপীর তলায় গুলি করে হত্যা করে ফেলে রাখে এবং মিথ্যা অপপ্রচার চালায় কথিত ক্রসফায়ারে সে নিহত হয়েছে। তিনি দাবী করে বলেন আমার ছেলে বিরুদ্ধে আশে পাশে কোন থানায় মামলা না থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার ছেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন দলের সদস্য নয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ কিংবা কোন গুরুত্বর কোন অভিযোগ নেই। আমার কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা না পেয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মামুনের স্ত্রী আফসারা আক্তার লাভলী বলেন আমার ¯^vgx নির্দোষ অন্যায় ভাবে আমার ¯^vgx‡K হত্যা করা হয়েছে। আমার ¯^vgx হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় এনে শাসিত্ম দিতে হবে। নিহত মামুনের ছোট মেয়ে ছুহি(১০) ও ছোহা(৬) কান্না জড়িত কন্ঠে বলে আমরা আর বাবাকে ফিরে পাবোনা বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারবনা। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের শাসিত্ম চাই। মামুনের মা মমতাজ বেগম (৭০) ছেলে হারানোর শোক সইতে পারছে না। কান্না জড়িত কন্ঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন আমার ছেলে নিরীহ তার কোন দোষ নেই। সে কোন মানুষের ক্ষতি করেনি। সবাইকে সে উপকার করে। পুলিশের কাজ মানুষের যান মালের নিরাপত্তা দেওয়া যান কেড়ে নেওয়া নয়। তারা কেন আমার নিস্পাপ সনত্মানকে হত্যা করল। আমি এই হত্যার বিচার চাই। এলাকা বাসী জানিয়েছে পুলিশ তাকে প্রকাশ্যে ০৪/১১/০৯ ইং তারিখে ধরে নিয়ে গেছে অথচ ১৫/১১/০৯ ইং তারিখে তাকে কথিত ক্রসফায়ারে দেওয়া হলো। এর মধ্যে সে কিভাবে আগ্নে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করল। এটা বিষ্কময় কর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন। মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মজনু, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু, মোঃ শফিউল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।