গাংনীতে এস,এস,সি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফিস আদায়ের অভিযোগ। অভিভাবকরা নিরূপায়।
এম এ লিংকনঃ- গাংনীতে এস,এস,সি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফিস আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ড ফিসের নির্ধারিত টাকার ৩/৪ গুন ব...
https://gangninews.blogspot.com/2009/11/blog-post_7882.html
এম এ লিংকনঃ- গাংনীতে এস,এস,সি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফিস আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ড ফিসের নির্ধারিত টাকার ৩/৪ গুন বেশী অর্থ আদায় করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার প্রায় সব গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ফরম পূরণের অজুহাতে অর্থ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচিত পরীক্ষায় সব বিষয়ে কৃতকার্য হলেও শিক্ষক সমিতির বেঁধে দেয়া ফিসের চেয়েও অতিরিক্ত ফিস আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ১৭শ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৭ শ ৫০ টাকা পর্যনত্ম আদায় করা হচ্ছে। তবে বেশীর ভাগ স্কুল মাদ্রাসাতে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৪ শ টাকা পর্যনত্ম নেয়া হচ্ছে। বাগিয়াপাড়া মহব্বতপুর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। টেষ্টে উর্ত্তীর্ণ ২১ জন পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে খুলনা, ঢাকা, যাতায়াত বাবদ, উন্নয়ন ফিস, কোচিং ফিস, লাইব্রেরী ফিস, প্রাকট্রিক্যাল ফিস, বোর্ড ফিস, পকেট ফিস ইত্যাদি ফিস দেখিয়ে ২ হাজার ৭শ ৫০ টাকা করে ফর্ম পূরণ বাধ্যতামূলক হলেও তাদের কোন রসিদ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া জোড়পুকুরিয়া হাই স্কুল সহ অনেক স্কুলেই ১ বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১ হাজার ৭শ ৭০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দিকীর সাথে আলাপ কালে তিনি এসব অভিযোগের সত্যতা অস্বিকার করে বলেন,আমরা ফরম পূরণে ২ হাজার টাকা করে নিচ্ছি। কেউ কোচিং করলে বাদ বাকী টাকা নেয়া হচ্ছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কোচিং ফিস আদায় করা হলেও কোন স্কুলে কোচিং করানো হয় না। বেশী টাকা না নিলে স্কুল চলবে কি ভাবে। ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফিস আদায়ে অভিভাবকরা নিরূপায় হয়ে অর্থ প্রদান করছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের বিষয়টি তদনেত্মর সময়ের দাবী।