গাংনী উপজেলা স্বাস্থ¨ কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি অব্যবস্থাপনা- স্বাস্থ¨ সেবা বিঘ্নিত।

এম এ লিংকন - গাংনী উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারী স...

এম এ লিংকন - গাংনী উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারী সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাস্থ সেবা দিতে চিকিৎসকদের অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৩১ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যাতে উন্নীত করার জন্য সরকারী উদ্যোগ ভেসেত্ম যেতে বসেছে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নতুন করে অব কাঠামো গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ঠিকাদারের ঢিলেমি এবং স্থানীয় চাঁদাবাজ মাসত্মান ও পৌর কার্যালয়ের অনুমোদন না থাকায় নাম মাত্র কাজ হওয়ার পর বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সের অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান চিকিৎসক সংকট নেই। ১ বর্তমানে কর্তব্যরত রয়েছেন ১১ জন মেডিকেল অফিসার ও ১২ জন নার্স। অন্যান্য পদগুলিও যথারীতি পূরণ হয়েছে। তবে টি,এইচ,এ ডাঃ আবু মোঃ জহুরুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সুইপারের পদ শূণ্য রয়েছে। সেকারণে হাসপাতালে ড্রেন ও টয়লেট গুলো অপরিস্কার এবং দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক রোগী এবং অভিভাবক অভিযোগ তুলে বলেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসলে জরুরী বিভাগে কোন এমবিবিএস ডাক্তার থাকেন না। প্যারা মেডিক্যাল ডাক্তার দিয়ে জরুরী বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা পত্র দেয়া হয়। একই সাথে ওয়ার্ড বয় এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সেবিকা থাকার কথা থাকলেও নাইট গার্ড, বাগানের মালি, পিয়ন এবং আয়া দিয়ে জরুরী বিভাগ চালানো হয়। অনেক সময় অসুস্থ এবং আশংকা জনক রোগীরা জরুরী বিভাগে বসে যন্ত্রনায় ছটফট করলেও ডাক্তার উপস্থিত থাকেন না। ফলে অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে নিরূপায় হয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এতে অনেক গরীব রোগীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।
হাসপাতালের মহিলা ও পুরূষ ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে,অসাস্থ ও নোংরা বেডে রোগীরা শুয়ে আছে। বেড গুলো মরিচা পড়া ভাংগা, বিছানার চাঁদর গুলো নোংরা, বালিশের কভার গুলো ব্যবহার অনুপযোগী এবং বেড়ের উপর তোষকারের ফোমগুলো একেবারেই ময়লা ছিন্ন ভিন্ন। ওই সব বেডে সুস্থ মানুষ অবস্থান করলেও সে রোগী হয়ে যাবে। সনত্মান প্রসবের ক্ষেত্রে নার্স আয়াদের আচারণ খুবই খারাপ। গরীব অসহায় হত দরিদ্র রোগীরা বাচ্চা প্রসবের পর নার্স আয়াদের চাহিদা মতো উৎকোচের টাকা না দিলে গালাগালি করে এবং রোগীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। রোগীদের জন্য খাবারের মান খুবই খারাপ। নিম্ন মানের মাংস ও মাছ দিতে দেখা গেছে। পরিমানেও কম। সকালে নাসত্মা ঠিকমতো দেয়া হয় না। ডিম, দুধ, পাউরুটি দেয়া হয় না। চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা পত্র দিতে ব্যাসত্মতা দেখালেও এম, আর, গণ সার্বক্ষনিক ডাক্তারদের ঘিরে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে প্রাইভেট রোগী দেখাতে বেশী ব্যাসত্ম থাকে। এ সব অব্যবস্থাপনা দূর করতে এলাকার অভিজ্ঞ মহলের ধারণা টি,আই,এ কে আরও প্রশাসনিক ভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে নার্স আয়াদেয় অন্যত্র বদলী করতে হবে। এমবিবিএস ডাক্তার জরুরী বিভাগে সার্বক্ষনিক ভাবে রাখতে হবে।বিছানার কাপড় চোপড় নতুন করতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিভিল সার্জন, জেলা প্রাশাসক সরেজমিন তদনত্ম করে ব্যবস্থা নিলে অনিয়ম দূর্নীতি অব্যবস্থাপনা দূর করা সম্ভব হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।

Follow Us

গাংনী নিউজের পক্ষ থেকে সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা । প্রিয় পাঠক, অত্যান্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, গাংনী নিউজ এখন থেকে ২৪ ঘন্টাই আপডেট করাহবে। আমাদের ঠিকানা-www.gangninews.com আমাদের সাইটে প্রবেশ করুন- এখানে ক্লিক করে এবং গাংনীর সব খবর সবার আগে জেনে নিন ধন্যবাদ।

Hot in weekRecentComments

Hot in week

Recent

Comments

ডাউনলোড করুন। ছবি দেখে ফন্টটি সেটাপ করুন এবং ফিক্স করুন।
item